আমি নিষ্ঠুর সততা দিয়ে শুরু করি: বেশিরভাগ মানুষ সুন্দরবন ঘুরতে যায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার আশায়। তারা দেখে না। আর তারা হতাশ হয়।
আমি তিনবার সুন্দরবন ট্যুর করেছি। বনে কাটানো মোট দিন: ৭। বাঘ দেখা: শূন্য। সরাসরি, যাই হোক। কিন্তু আমি যা দেখেছি: কর্দমাক্ত নদীর তীরে তাজা পায়ের ছাপ, একটা গাছের ডাল এখনও কাঁপছে যেখানে একটা বাঘ মাত্র পার হয়ে গেছে, ভোরে দূরের গর্জন, আর একবার – শুধু একবার – একটা ক্ষণিক কমলা ছায়া ঘন ম্যানগ্রোভে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
আমি কি হতাশ হয়ে চলে এসেছি? একদমই না। কারণ সুন্দরবন শুধু বাঘ নিয়ে না। এটা প্রাচীন ম্যানগ্রোভ বনে ঘেরা সরু খালের মধ্যে দিয়ে ক্রুজ করা নিয়ে। এটা নদীর তীরে চিত্রা হরিণ ঘাস খাওয়া নিয়ে। এটা কুমিরগুলো রোদ পোহানো নিয়ে। এটা ডলফিন খেলাচ্ছলে পানিতে ভেসে উঠতে দেখা নিয়ে। এটা একটা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানে থাকা নিয়ে যেটা সত্যিই বন্য আর অদম্য।
কিন্তু এটা দামিও। এটার পরিকল্পনা দরকার। আপনি মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর হবেন। আর আপনাকে জানতে হবে আপনি কিসের জন্য সাইন আপ করছেন। এই গাইড আপনাকে সবকিছু বলবে – ভালো, চ্যালেঞ্জিং, আর আসল খরচ।
সুন্দরবন বোঝা: আপনি আসলে কি ভিজিট করছেন
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন – ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ আর ভারত জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশ পাশ (যেটা এই গাইড কভার করে) প্রায় ৬,০০০ বর্গ কিমি জোয়ারভাটার জলপথ, কাদা সমতল, আর ঘন বন।
এটা এমন জায়গা না যে আপনি শুধু নৈমিত্তিকভাবে ভিজিট করতে পারবেন। আপনি সেখানে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারবেন না, ঘুরে আসতে পারবেন না। সব ভিজিট নৌকায়। আপনি নৌকায় থাকবেন। নৌকায় খাবেন। নৌকায় ঘুমাবেন (বা নির্ধারিত দ্বীপে মৌলিক আবাসন সহ)। বন সুরক্ষিত – আপনি শুধু ঘুরে বেড়াতে পারবেন না।
প্রত্যাশা সেট করার মূল তথ্য:
- এটা একটা জোয়ারভাটার ম্যানগ্রোভ বন। উচ্চ জোয়ার আর ভাটা নাটকীয়ভাবে ল্যান্ডস্কেপ বদলায়।
- আনুমানিক ১০০-১৫০ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। ১০,০০০ বর্গ কিমিতে। হিসাব করুন।
- এছাড়াও চিত্রা হরিণ, বন্য শুয়োর, কুমির, বিভিন্ন পাখির প্রজাতি, আর ইরাবতী ডলফিনের আবাসস্থল।
- বনের ভেতরে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। আপনি সত্যিই বিচ্ছিন্ন।
- ট্যুর সাধারণত ২-৪ দিন স্থায়ী। কম হলে তাড়াহুড়ো লাগে।
ট্যুর প্যাকেজ খরচ: সম্পূর্ণ বিভাজন
এটাই বেশিরভাগ মানুষ প্রথমে জানতে চায়। নৌকার ধরন, ট্যুরের দৈর্ঘ্য, আর অপারেটরের উপর ভিত্তি করে খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। এখানে আসল বিভাজন:
বাজেট ট্যুর (৩ দিন/২ রাতের জন্য মাথাপিছু ৮,০০০-১২,০০০ টাকা)
যা পাবেন:
- সাধারণ কেবিন সহ বেসিক নৌকা (শেয়ার্ড বাথরুম)
- সব খাবার অন্তর্ভুক্ত (বাংলা খাবার, বেসিক কিন্তু পেট ভরে)
- বন পারমিট আর প্রবেশমূল্য
- সশস্ত্র প্রহরী (বাঘের নিরাপত্তার জন্য বাধ্যতামূলক)
- বেসিক গাইড
- ২-৩টি মূল স্পট পরিদর্শন
যা পাবেন না:
- এসি কেবিন (শুধু ফ্যান)
- প্রাইভেট বাথরুম
- বৈচিত্র্যময় মেনু (প্রতিদিন একই রকম খাবার আশা করুন)
- আরামদায়ক বিছানা (বেসিক ফোম ম্যাট্রেস)
মিড-রেঞ্জ ট্যুর (৩ দিন/২ রাতের জন্য মাথাপিছু ১৫,০০০-২৫,০০০ টাকা)
যে আপগ্রেড পাবেন:
- এসি কেবিন সহ ভালো নৌকা
- প্রাইভেট সংযুক্ত বাথরুম (গরম পানি উপলব্ধ)
- বেশি বৈচিত্র্যময় খাবার, ভালো মান
- ভালো বন্যপ্রাণী জ্ঞান সহ অভিজ্ঞ গাইড
- কম ট্যুরিস্টি এলাকা সহ ৪-৫টি স্পট পরিদর্শন
- ভালো নিরাপত্তা সরঞ্জাম
- ছোট গ্রুপ সাইজ
আমার মতামত: এটা সুইট স্পট। উপভোগ করার জন্য যথেষ্ট আরামদায়ক, এত দামি না যে খরচ নিয়ে টেনশন। আমি বেশিরভাগ মানুষের জন্য এটা সুপারিশ করবো।
লাক্সারি ট্যুর (৩ দিন/২ রাতের জন্য মাথাপিছু ৩৫,০০০-৬০,০০০ টাকা)
প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য:
- সম্পূর্ণ এসি কেবিন সহ ভালো রক্ষণাবেক্ষণ আধুনিক নৌকা
- মানসম্মত বিছানা, সঠিক বাথরুম
- চমৎকার খাবার (বৈচিত্র্য, মানসম্মত উপাদান)
- বিশেষজ্ঞ প্রকৃতিবিদ গাইড
- ভালো ক্যামেরা/বাইনোকুলার প্রদান
- বেশি ব্যাপক বন কভারেজ
- ছোট গ্রুপ (সর্বোচ্চ ৮-১২ জন)
যাওয়ার সেরা সময়: মাস-অনুযায়ী গাইড
অক্টোবর থেকে মার্চ: পিক সিজন (সেরা সময়)
এই সময়ই আপনার যাওয়া উচিত। ঠান্ডা আবহাওয়া (১৫-২৫°সে), কম বৃষ্টি, শান্ত পানি, ভালো বন্যপ্রাণী দৃশ্যমানতা।
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণ পিক:
- নিখুঁত আবহাওয়া – খুব গরম না, খুব ঠান্ডা না
- পরিযায়ী পাখি উপস্থিত (পাখি দেখার জন্য বিশাল বোনাস)
- প্রাণী বেশি সক্রিয় আর দৃশ্যমান
- নৌকায় ঘুমানো আরামদায়ক
ডাউনসাইড: বেশি দাম, বেশি ট্যুরিস্ট, ৩-৪ সপ্তাহ আগে বুক করতে হবে।
এপ্রিল থেকে জুন: গরম মৌসুম (সম্ভব কিন্তু চ্যালেঞ্জিং)
তাপমাত্রা: ৩০-৩৮°সে। আর্দ্র। অস্বস্তিকর।
ভালো দিক:
- অনেক সস্তা ট্যুর (৩০-৪০% ছাড়)
- খুব কম ট্যুরিস্ট
- প্রাণীরা পানির উৎসে বেশি আসে
খারাপ দিক:
- ভয়াবহ গরম
- উচ্চ আর্দ্রতা ক্লান্তিকর করে তোলে
- মশা প্রচুর
- ভালো এসি ছাড়া নৌকায় ঘুমানো অস্বস্তিকর
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর: বর্ষা (এড়িয়ে চলুন)
বর্ষায় যাবেন না। ভারী বৃষ্টি, রুক্ষ পানি, সীমিত দৃশ্যমানতা, অনেক অপারেটর ট্যুর চালায় না, আর রুক্ষ আবহাওয়ায় এটা সত্যিই অনিরাপদ।
কি আশা করবেন: দিন-অনুযায়ী বিভাজন
একটি সাধারণ ৩ দিন/২ রাতের ট্যুরের উপর ভিত্তি করে:
দিন ১: যাত্রা ও প্রাথমিক অন্বেষণ
সকাল: খুলনা বা মংলা থেকে নৌকায় ছাড়ুন (সাধারণত সকাল ৮-৯টা)। প্রথম কয়েক ঘণ্টা চওড়া নদীর মধ্যে দিয়ে ট্রানজিট। দৃশ্য: মাছ ধরার গ্রাম, নদী ট্র্যাফিক, ধীরে ধীরে বন্য এলাকায় রূপান্তর।
দুপুরের খাবার: নৌকায় প্রথম খাবার। সাধারণত ভাত, মাছের তরকারি, সবজি। সাধারণ কিন্তু তাজা।
বিকাল: বন এলাকায় প্রবেশ। প্রথম বন্যপ্রাণী দেখার চেষ্টা। আপনি চিত্রা হরিণ দেখবেন (প্রায় গ্যারান্টিড), বিভিন্ন পাখি, সম্ভবত রোদ পোহানো কুমির।
সন্ধ্যা: একটা বন ওয়াচ টাওয়ার বা দ্বীপের কাছে নোঙর করুন। নৌকায় রাতের খাবার। গাইড পরের দিন সম্পর্কে ব্রিফিং দেয়। তাড়াতাড়ি ঘুম (আর কিছু করার নেই)।
দিন ২: গভীর বন অন্বেষণ
ভোর সকাল (৫:৩০ টা): জেগে ওঠার ডাক। এটা প্রধান বন্যপ্রাণী সময়। চা আর বিস্কুট, তারপর সকালে সরু খালের মধ্যে দিয়ে ক্রুজ।
৭-৮ টা: ওয়াচ টাওয়ার পরিদর্শন। উপরে উঠুন, বন স্ক্যান করুন। এটা বাঘ দেখার আপনার সেরা সুযোগ (যদিও এখনও সম্ভাবনা কম)। আপনি হরিণ, পাখি, হয়তো বন্য শুয়োর দেখবেন।
নাস্তা: নৌকায় ফিরুন। সঠিক নাস্তা – সাধারণত ডিম, রুটি, সবজি।
সকাল মাঝামাঝি: বনের গভীরে ক্রুজ। বিভিন্ন পয়েন্টে থামুন। গাইড ম্যানগ্রোভ ইকোলজি ব্যাখ্যা করে, বন্যপ্রাণীর দিকে ইশারা করে।
দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম: মধ্যদিনের গরম তীব্র। খান, কেবিনে বিশ্রাম নিন।
বিকাল শেষে: আরেকটা অন্বেষণ সেশন। ভিন্ন খাল বা দ্বীপ পরিদর্শন।
সন্ধ্যা: রাতের জন্য নোঙর করুন। রাতের খাবার। ভাগ্য ভালো হলে, দূরে বাঘের গর্জন শুনুন (আমার দ্বিতীয় ট্যুরে হয়েছিল)।
দিন ৩: ফেরার যাত্রা
ভোর সকাল: চূড়ান্ত বন্যপ্রাণী দেখার সেশন।
নাস্তা: নৌকায় শেষ খাবার।
সকাল মাঝামাঝি থেকে: ফিরতে শুরু করুন। পথে যেকোনো আগ্রহজনক দেখার জায়গায় থামুন।
বিকাল: খুলনা/মংলায় পৌঁছান। ট্যুর শেষ।
বন্যপ্রাণী যা আপনি আসলে দেখবেন (বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা)
প্রায় গ্যারান্টিড:
- চিত্রা হরিণ: প্রচুর। আপনি কয়েক ডজন দেখবেন।
- পাখি: মাছরাঙা, ঈগল, সারস, বক। শত শত প্রজাতি।
- বানর: রেসাস ম্যাকাক ওয়াচ টাওয়ারের কাছে সাধারণ।
খুব সম্ভবত:
- কুমির: নদীর তীরে রোদ পোহানো মোহনা কুমির। ভয়ঙ্কর কিন্তু দুর্দান্ত।
- বন্য শুয়োর: প্রায়ই খাবার খুঁজতে দেখা যায়।
- বিভিন্ন সরীসৃপ: মনিটর লিজার্ড, সাপ (নিরাপদ দূরত্ব থেকে)।
সম্ভব:
- ডলফিন: ইরাবতী ডলফিন কখনও কখনও পানিতে ভেসে ওঠে। হলে জাদুকরী।
- মাছ ধরা বিড়াল: ছোট বন্য বিড়াল। বিরল দেখা।
- উদবিড়াল: লাজুক কিন্তু উপস্থিত।
অসম্ভাব্য কিন্তু সম্ভব:
- রয়েল বেঙ্গল টাইগার: বাস্তব কথা বলি। ৫-১০% ট্যুর আসল দেখা পায়। আপনি সম্ভবত পায়ের ছাপ দেখবেন, হয়তো গর্জন শুনবেন, কিন্তু সরাসরি দেখা? বিরল। এটা চিড়িয়াখানা না।
গুরুত্বপূর্ণ মানসিকতা পরিবর্তন: ইকোসিস্টেমের জন্য যান, শুধু বাঘের জন্য না। যদি বাঘ দেখেন, এটাকে একটা অবিশ্বাস্য বোনাস হিসেবে বিবেচনা করুন, গ্যারান্টিড ফিচার না।
আপনার ট্যুর বুকিং: সঠিকভাবে কিভাবে করবেন
ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে (সুপারিশকৃত)
সুবিধা:
- সবকিছু সাজানো (পারমিট, নৌকা, গাইড, খাবার)
- কাগজপত্রের ঝামেলা নেই
- আরো নিরাপদ (যাচাইকৃত নৌকা আর গাইড)
কিভাবে বুক করবেন:
- অনলাইনে অপারেটরদের গবেষণা করুন
- রিভিউ চেক করুন (গুগল, ফেসবুক, ট্রাভেল ফোরাম)
- ৩-৪টি অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করুন, প্যাকেজ তুলনা করুন
- নির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন: নৌকার ধরন, গ্রুপের আকার, সঠিক পরিকল্পনা
- ২-৪ সপ্তাহ আগে বুক করুন (পিক সিজনের জন্য দীর্ঘ)
- সঠিক খরচ সহ লিখিত নিশ্চিতকরণ নিন
DIY বুকিং (সস্তা কিন্তু জটিল)
সম্ভব কিন্তু সুপারিশ করা হয় না যদি না আপনি অভিজ্ঞ এবং বাংলা-ভাষী হন। প্রয়োজন:
- নিজের নৌকার ব্যবস্থা
- বন পারমিট পাওয়া (আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া)
- আলাদাভাবে সশস্ত্র প্রহরী নিয়োগ
- খাবার আর সরবরাহ ব্যবস্থা
সঞ্চয়: হয়তো ২০-৩০%। মাথাব্যথা: উল্লেখযোগ্য। ঝুঁকি: বেশি।
অপরিহার্য প্যাকিং তালিকা
একেবারে অপরিহার্য:
- মশা নিরোধক: এটা অতিরঞ্জিত করতে পারি না। মশা নিরলস।
- সানস্ক্রিন (SPF 50+): পানি থেকে প্রতিফলন সূর্যকে তীব্র করে।
- বাইনোকুলার: বন্যপ্রাণী দেখার জন্য। ট্যুর প্রদান করতে পারে, কিন্তু সম্ভব হলে নিজের আনুন।
- ওষুধ: যেকোনো ব্যক্তিগত ওষুধ, প্লাস মোশন সিকনেস পিল, মৌলিক ব্যথানাশক।
- পাওয়ার ব্যাংক: বেসিক নৌকায় বিদ্যুৎ নেই।
- টর্চলাইট: রাত অন্ধকার।
- নগদ: বনে কোনো এটিএম নেই।
অত্যন্ত সুপারিশকৃত:
- ভালো ক্যামেরা: না থাকলে আফসোস হবে।
- হালকা জ্যাকেট: সকাল আর সন্ধ্যা ঠান্ডা হতে পারে।
- টুপি আর সানগ্লাস
- ওয়েট ওয়াইপস/হ্যান্ড স্যানিটাইজার
- প্লাস্টিক ব্যাগ: ইলেকট্রনিক্স শুকনো রাখুন
- আরামদায়ক জুতা: পরা/খোলা সহজ (আপনি ছোট নৌকায় উঠবেন)
পোশাক:
- হালকা, শ্বাস নেওয়ার উপযোগী কাপড়
- মশা সুরক্ষার জন্য লম্বা হাতা
- ২-৩ সেট (আপনি ঘামবেন)
- সন্ধ্যার জন্য একটা উষ্ণ স্তর
নিরাপত্তা বিবেচনা
বাঘ: সব ট্যুরে সশস্ত্র প্রহরী থাকে। নৌকায় থাকুন, একা ঘুরবেন না, গাইডের নির্দেশ অনুসরণ করুন। নিয়ম মেনে চললে ট্যুরিস্টদের উপর বাঘের আক্রমণ অত্যন্ত বিরল।
কুমির: সাঁতার কাটবেন না, নৌকা থেকে পানিতে হাত ঝুলাবেন না। তারা উপস্থিত আর বিপজ্জনক।
মশা: ধর্মীয়ভাবে নিরোধক ব্যবহার করুন। ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি কম কিন্তু ডেঙ্গু সম্ভব। প্রফিল্যাক্সিস সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ বিবেচনা করুন।
গরম/সূর্য: হাইড্রেটেড থাকুন। সানস্ক্রিন পরুন। মধ্যদিনে ছায়া খুঁজুন।
নৌকা: যাচাইকৃত ট্যুর অপারেটর ব্যবহার করুন। নৌকায় লাইফ জ্যাকেট, ফার্স্ট এইড কিট, যোগাযোগ সরঞ্জাম আছে কিনা চেক করুন।
সেখানে যাওয়া: সুন্দরবনে পরিবহন
খুলনায় (প্রধান শুরুর পয়েন্ট)
ঢাকা থেকে বাসে: ৬-৮ ঘণ্টা, ৬০০-৯০০ টাকা (নন-এসি থেকে এসি)
ঢাকা থেকে ট্রেনে: ~১০ ঘণ্টা, ক্লাসের উপর নির্ভর করে ৪০০-৮০০ টাকা
ঢাকা থেকে বিমানে: বর্তমানে সরাসরি ফ্লাইট নেই
মংলায় (বিকল্প শুরুর পয়েন্ট)
খুলনা থেকে: রাস্তায় ১.৫ ঘণ্টা (বাসে ১৫০-২০০ টাকা)
অনেক ট্যুর মংলা থেকে শুরু হয় কারণ এটা বন প্রবেশ পয়েন্টের কাছাকাছি।
চূড়ান্ত রায়: সুন্দরবন কি মূল্যবান?
এখানে আমার সৎ উত্তর: আপনি যদি সহজ, আরামদায়ক ওয়াইল্ডলাইফ সাফারি গ্যারান্টিড বাঘ দেখার সাথে আশা করেন – না, এটা আপনার জন্য না।
কিন্তু যদি আপনি চান:
- একটা সত্যিকার প্রকৃতির অভিজ্ঞতা
- একটা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান ঘোরা
- বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে দিয়ে ক্রুজ করা
- প্রাকৃতিক আবাসস্থলে বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী দেখা
- কয়েক দিনের জন্য আধুনিক জীবন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া
- একটা অনন্য অ্যাডভেঞ্চার যেটা সত্যিই বন্য
তাহলে হ্যাঁ। একদম হ্যাঁ। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে অনন্য অভিজ্ঞতাগুলোর একটি।
সুন্দরবন সহজ না। এটা গরম, এটা মশার, আপনি দিনের পর দিন নৌকায় থাকবেন, আপনি সম্ভবত বাঘ দেখবেন না। কিন্তু আপনি আজকাল আরও বিরল কিছু দেখবেন – একটা বন যেটা সত্যিই বন্য, ট্যুরিস্টদের জন্য কিউরেটেড না। যেখানে প্রকৃতি, মানুষ না, নিয়ন্ত্রণে।
আর এটা প্রতিটা টাকার মূল্য আছে।
সুন্দরবন অঞ্চল সম্পর্কে আরো তথ্যের জন্য, আমাদের খুলনা জেলা পেজ দেখুন। আরো বাংলাদেশ ভ্রমণ গাইডের জন্য, আমাদের ট্রাভেল ব্লগ দেখুন।
সরকারি তথ্য: বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড








